প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সংযুক্ত একটি সরকারি দপ্তর। ১৯১০ সালের ইলেকট্রিসিটি এ্যাক্টের ৩৬ ধারা ও ১৯৩৭ সালের ইলেকট্রিসিটি রুলস এর বিধি ৪-১০ অনুসরণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ এবং ব্যবহারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক দপ্তরটি সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত দপ্তরের কার্যাবলী গুরুত্ব বিবেচনায় বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ এর ৩১ ধারা অনুসরণে দপ্তরের নাম সংশোধনপূর্বক প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর নামকরণ করা হয়।
১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামে দপ্তরটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে দপ্তরটি সচিবালয়ে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৬১ সালের রেগুলেশন মোতাবেক বৈদ্যুতিক পেশায় নিয়োজিত কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক এ দপ্তরের বিদ্যুৎ লাইসেন্সিং বোর্ড গঠন করা হয়। ২০১৭ সালে ৪৫ জন জনবলের কাঠামোসহ নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদন করা হয় এবং ২০২১ সালে অতিরিক্ত সৃজনকৃত ৬৯ টি পদসহ মোট ১১৪ জন জনবলের কাঠামোসহ নিয়োগ বিধিমালা, ২০২২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিধি উপকমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দপ্তরটি ২৫ নিউ ইস্কাটনস্থ নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২১ সালে ০৮ টি বিভাগীয় শহরে অফিস স্থাপনের জন্য প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত হয় এবং ইতোমধ্যে এ দপ্তরের চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুরে বিভাগীয় অফিসের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
শিল্প, কল-কারখানাসহ সকল উচ্চ ও মধ্যম চাপের নতুন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র ও স্থাপনা পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদন প্রদান করা এ দপ্তরের অন্যতম কাজ। অপরদিকে বিদ্যুৎ লাইসেন্সিং বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করতঃ বৈদ্যুতিক কাজে পেশাজ্ঞান সম্পন্ন উপযুক্ত ঠিকাদার, প্রকৌশলী ও ইলেকট্রিশিয়ানগণকে চিহ্নিতপূর্বক তাদেরকে বৈদ্যুতিক ঠিকাদারী লাইসেন্স, সুপারভাইজার কম্পিটেন্সি সার্টিফিকেট ও কারিগরি পারমিট প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এ দপ্তর পরিদর্শন ও লাইসেন্সিং কার্যক্রম সম্পন্ন করে সরকারের রাজস্ব ( Non-tax Revenue) আদায় করে থাকে ।